মৌলভীবাজারের বড়লেখা খাদিজা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
খাদিজা উপজেলার মুর্শিবাদকুরা গ্রামের জুয়েল আহমদের স্ত্রী। স্বামীর দাবি, খাদিজা বেগম গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এলাকায় এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বামীর বাড়ির লোকজন গৃহবধু খাদিজা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি খাদিজা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে তারা আত্মহত্যার কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি। প্রতিবেশিদের একটি সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহ ও স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নানা নির্যাতনে অভিমান করে গৃহবধু খাদিজা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বড়লেখার থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর ময়নাতদেন্তর জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন বলেছেন, সবার অগোচরে গৃহবধু খাদিজা বেগম গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।