সালেহ আহমদ (স'লিপক) : সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে আদালত ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বে-আইনীভাবে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা এবং টমটম চলাচল বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার-নবীগঞ্জ-তাজপুর-বালাগঞ্জ-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ-সৈয়দপুর-কাতিয়া বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপ সিলেট এর নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকাল ১১টায় সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনাল রোডস্থ আসমা ম্যানশন কার্যালয়ে গ্রুপে কার্যনির্বাহী কমিটির মাসিক সভায় এ দাবী জানানো হয়।
গ্রুপের সভাপতি শাহ নুরুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মৌরশ আলী, সহ-সভাপতি সামছুদ্দিন বাবু ধন, সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ, সহ-সভাপতি পারভেজ মিয়া, সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, সহ-সভাপতি অরুন কুমার দেব, সদস্য হাজী মোঃ ফরিদুর রহমান, নুর মিয়া, তমাল, বিজিৎ দেব, সৈয়দ রৌশন আলী, নুরুল ইসলাম, লয়লু মিয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেট-মৌলভীবাজার বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপ সেই অতীতকাল থেকে জনসাধারনকে যাত্রীসেবা দিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে। সরকারকে পরিবহন থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চলাচল এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা ও টমটম বে-আইনীভাবে চলাচল করায় যেমনি পরিবহন ব্যবসায় বাস-মিনিবাস মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অহরহ প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। সিএনজি অটোরিক্সা বে-আইনী চলাচল বন্ধের জন্য পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি সহ বিভিন্ন সময়ে আবেদন করার পরও কোন কার্যকরি ব্যবস্থা না নেয়ায় অবৈধ সিএনজি চালকরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই এ বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, এসএমপির পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।