হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষে দুই গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক, পথচারী ও পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাই টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশ টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি আমির হামজা ও মেরাজ মিয়া নামে এক পথচারীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকীদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত শায়েস্তানগর এলাকায় দফায় দফায় ঘন্টা ব্যাপি এ সংঘর্ষ চলে। পরে হবিগঞ্জ সদর থানা ও পুলিশ লাইন্সের অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় শায়েস্তানগর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর আন্তার্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার লঙ্গণের শিকার নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাম্মী আক্তার শিফার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করে।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে হঠাৎ করে একটি ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এসময় বেশ কয়েকটি দোকান পাঠ ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
তিনি বলেন, আমরা এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছি। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।