Logo

কমিশন মনে করে, বিএনপিও ভোটে আসবে: ইসি রাশেদা

প্রকাশিত:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ১০৬৫জন দেখেছেন
রাজনগর বার্তা রিপোর্ট ::

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ধীরে ধীরে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে। কমিশন মনে করে, বিএনপিও ভোটে আসবে।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা। 

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখনো আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূট কৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কি কারণে করছেন, কি চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশা আল্লাহ আসবে।’ 

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আস্থায় রাখতে না পারলে...উনারা মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে উনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে আমার বিশ্বাস।’
 
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করা। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে। 

রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করা লাগবে। এ জন্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড় জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে। 

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, ‘কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আমরা নিয়োগ দেব না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।’ 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনও আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে এ রকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এ রকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনো দিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।’ 

রাশেদা সুলতানা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সব সময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। 

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ—দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।’


আরও খবর