মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সুমা আক্তার নামে এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আজ শনিবার (২ মার্চ) ভোরে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সুমা আক্তার টিলাগড় গ্রামের তালেব আলীর মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সবার অজান্তে ঘরের তিরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে সুমা আক্তার। ঘরে লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের সুমা আক্তার বালাগঞ্জ নুরুল ইসলাম সঙ্গে ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে সে বাবার বাড়িতে বসবাস করছে।
পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সিরাজ খান বলেন, ‘৪-৫ মাস আগে সিলেটের বালাগঞ্জ এলাকার নুরুল ইসলাম নামে একটা ছেলের সঙ্গে ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় সুমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে মেয়ের বাড়িতে ছেলে বসবাস করে আসছে। এলাকার মানুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম ২-১ দিন আগে আদালতে স্বামী নুরুল ইসলাম সুমা আক্তারকে তালাক দিয়েছে। সেই তালাকের কথা শুনে হয়তো সুমা আত্মহত্যা করছে।’
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামিম আকনজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘৪-৫ মাস আগে প্রেম করে সিলেটের বালাগঞ্জ এলাকার নুরুল ইসলাম নামে একটি ছেলের সঙ্গে সুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতেন তাঁরা। শুক্রবার কোর্টের একজন মুহরি ফোন করে মেয়েকে জানিয়েছে আপনার স্বামী আপনাকে তালাক দিয়েছে। এসব কথা পরিবারের লোকজন আমাদের জানায়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার পাঠিয়েছি। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’