কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বিপাকে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার তাণ্ডবে কাঁচা ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে ঘরের বাঁশের খুঁটি। বন্যা কবলিত এলাকায় প্রায় সকল ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেশি বিপাকে রয়েছেন এসব কাঁচা ঘরের বাসিন্দারা।
নিম্ন আয়ের এসব মানুষের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ঘরবাড়ি মেরামত করা। বন্যা আক্রান্ত স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ঘরবাড়ি মেরামতের আর্থিক সামর্থ্য এখন নেই। কোনোরকম বাঁশের ঘর মেরামত করে বসবাস শুরু করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত সালাহউদ্দিন বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা ও উদ্ধার কাজে সক্রিয় ছিলেন। তিনি জানান, পানি আসার সাথে সাথে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য আশ্রয় খোঁজতে শুরু করে। বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। মানুষ খুবই ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। মানুষের বড় দুর্ভোগ এখন ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি মেরামত করা।
স্থানীয়রা জানান, এরকম প্রবল স্রোতের বন্যা তারা আগে কখনও দেখেননি। হটাৎ পানি এসে সব তছনছ করে দিয়েছে। এর আগেও মনু নদীর বাঁধ ভাঙনে বন্যা হয়েছে। তবে এভাবে পানির স্রোত এত প্রবল ছিল না। অতিরিক্ত স্রোতের কারণে ঘরবাড়ি বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মিয়ার বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে ঘরের বাঁশের বেড়া উপচে পড়েছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘর মেরামতের মত পর্যাপ্ত টাকা এখন হাতে নেই। হটাৎ করে আসা এ বিপদ কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাজিপুর ইউনিয়নের হাজিপুর,মিয়ারপাড়া, দরিতাজপুর, লওহরাজপুর, লালবাগ , শালন, আশ্রয়গ্রাম, কামালপুর, বিজলি ,লালপুরসহ উপজেলার অনান্য এলাকায় কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকার নিম্নআয়ের বাসিন্দারা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে জানান, এই মুহূর্তে ঘরবাড়ি মেরামত করার সামর্থ্য তাদের নেই। প্রশাসন সহযোগিতা করলে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের জন্য সহায়ক হবে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মহি উদ্দিন এনটিভিকে জানান, বন্যা আক্রান্ত এলাকায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ আসলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।