সালেহ আহমদ (স'লিপক) : মৌলভীবাজারে দালাল, চাটোকারমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত প্রেসক্লাব এবং বঞ্চিত সাংবাদিকদের অন্তর্ভূক্তি ও ভোটাধিকারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার সম্মনয়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদের সভাপতিত্বে জেলার বিক্ষোদ্ধ সাংবাদিকরা এই মানববন্ধন করেন।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক বাংলার দিন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক বকশী ইকবাল আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মো: শাহজান মিয়া।
মানববন্ধনে সাংবাদিগগন প্রেসক্লাবের বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৫টি দাবী উপস্থাপন করেন। দাবীগুলো হচ্ছে- ১. মৌলভীবাজার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সরাসরি যে সাংবাদিকরা অবস্থান নিয়েছেন কিংবা রাজনৈতিক ইন্দনে সহযোগীতা করেছেন সেই সকল সাংবাদিকদের আজীবনের জন্য প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করতে হবে। ২. জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক, অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক যারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দায়িত্ব পালনরত, সদস্য হতে ইচ্ছুক সংবাদদাতাদের সদস্য করা। ৩. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পেশাগত দায়িত্বশীল যে সমস্ত সংবাদদাতারা আহত হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৪. সরকারি/বেসরকারি পর্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সদস্য ছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো এবং ৫. সকল প্রকার বৈষম্যমুক্ত, হিংসামুক্ত একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্যে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করা।
এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সংগঠন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মৌলভীবাজারস্থ প্রেসক্লাব দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োজিত সংবাদদাতাদের সদস্যপদ লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যা এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল।
এই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ও বর্তমান সরকারের মূল চেতনা হল সমঅধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না। আমরা জেলায় কর্মরত সংবাদদাতারাও বৈষম্যের শিকার থাকতে চাই না। আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সময় দেওয়া হলো। অন্যতায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা বাধ্য হবে বলে মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন।