মৌলভীবাজারের হাইল হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলের পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি কুঁচিয়া। শুরুতে বিষয়টি ওই ব্যক্তি তেমন গুরুত্ব দেননি। পরে পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হলে ছুটে যান হাসপাতাল।
পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পেট কেটে জীবিত অবস্থায় কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
বাবা–ছেলের সঙ্গে কথা বলে আরও জানান, থলেতে ভরার জন্য দুই হাতে দুটি কুঁচিয়া ধরেন সম্রা মুণ্ডা। কিন্তু থলেতে ভরার আগে কাদামাটিতে পা পিছলে তিনি পড়ে যান। একপর্যায়ে হাত থেকে কুঁচিয়া দুটি ছুটে যায়। এর মধ্যে একটি তাঁর পরনের প্যান্টের মধ্যে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে পায়ুপথ দিয়ে কিছু একটা ঢুকে পড়ার অনুভূতি পান তিনি। তখন বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি সম্রা মুণ্ডা।
সম্রা মুণ্ডা জানান, তাঁদের বাড়ি থেকে হাইল হাওরের দূরত্ব প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। তিনি হাওর থেকে এলাকায় ফিরে কুঁচিয়াগুলো বিক্রি করেন। আড়াই কেজি প্রায় ৮০০ টাকায় বিক্রির পর বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু বলেননি। রাতে বাড়িতে থাকা একটি কুঁচিয়া রান্না করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া শেষ করেন।
পরের দিন সকালে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন সম্রা মুণ্ডা। এরপর ছোট ছেলেকে নিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসককে পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে যেতে পারে বলে জানান। পরে সেখান থেকে সম্রা মুণ্ডাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সম্রা মুণ্ডার ছেলে তপন মুণ্ডা বলেন, বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এক্স–রে পরীক্ষা দেওয়া হয়। এক্স–রেতে পেটের ভেতরে লম্বা কিছুর উপস্থিতি দেখা যায়। এরপর রোববার রাতে অস্ত্রোপচার করে জীবিত অবস্থায় কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, কুঁচিয়াটি পেটের ভেতরে জীবিত অবস্থায় ছিল। অস্ত্রোপচার করে প্রায় দুই ফুট লম্বা কুঁচিয়া মাছ বের করা হয়েছে। সেটি আরও বেশি সময় থাকলে ওই জেলের মৃত্যু হতে পারত।
ওই চিকিৎসক জানান, কুঁচিয়াটি সম্রা মুণ্ডার পেটের মধ্যে কিছু নাড়ি কেটে ফেলেছে, যার কারণে পায়খানার রাস্তা বন্ধ রেখে আপাতত নল দেওয়া হয়েছে। দেড় মাস পর আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।