গত ২৭ ই জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় "জুড়ী ও রাজনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস" অঢেল সম্পদের মালিক অফিস সহকারি সুমন ও দৈনিক সময়ের কন্ঠস্বর পত্রিকায় সুমন অফিসে আসেন গাড়িতে, ঢাকায় যান বিমানে এবং অনাইন পোর্টাল সীমান্ত টাইম্স এ অফিস সহকারী সুমন অফিসে আসেন গাড়িতে, ঢাকায় যান বিমানে শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অবাস্তব ও অসত্য মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত । এসকল প্রতিবেদনে আনীত অভিযোগগুলো অবাস্তব ও ভ্রান্ত । সবকটি পত্রিকায় শুধু মাত্র শিরোনাম পরিবর্তন করে একই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এতেই প্রতীয়মান হয় আমার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে প্রতিবেদক উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সংবাদটি লিখেছেন। আমি এ সংবাদ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্ধনে আমার অফিসের ইমেজ এবং আমার সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন প্রয়াসে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে সামাজিক ভাবে হ্যায় করার উদ্দেশে প্রতিবেদক উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এ সকল অবাস্তব ভিত্তিহীন অভিযোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি লিখেছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমি চলাফেরা করি রাজকীয় হালে, বাস্তবে আমার চলাফেরা সাধারণ নাগরিকের মতোই। আমি কখনও এস করলা গাড়ি নিয়ে অফিসে যাতায়াত করি না। আমি প্রতিদিন যথা সময়ে অফিসে আসা যাওয়া করি। রাজনগর এবং জুড়ী উপজেলায় আমার কোনো সিন্ডিকেট নেই। অফিস সহকারী হিসেবে কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথাও না। আমার অঢেল কোনো সম্পত্তি নেই। চাকরি থেকে প্রাপ্ত বেতন থেকে পারিবারিক কাজে ব্যবহার শেষে যা অবশিষ্ট থাকে সেটা ছাড়া আমার কোনো সম্পত্তি নেই। আমি কোনোদিন কারও কাছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমার নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দেই নি। তিনি আমার কোনো নিকট আত্মীয়ও না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজনগর উপজেলার টিআর, কাবিখা, কাবিটা (সাধারণ ও বিশেষ) নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য প্রকল্পের বিলে পিআইসি কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন সুমন । বাস্তবে পিআইসি কমিটির স্বাক্ষর জাল দিয়ে টাকা উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। পিআইসি কমিটির স্বাক্ষর যাচাই বাচাই করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে থাকেন। কোনো প্রকল্পে ই ভূয়া পিআইসির সভাপতি দেখানো হয়নি। টিরআর প্রকল্পের পিআইসির কমিটির সঙ্গে সবসময় ৩০০ টাকা নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করা হয়ে থাকে। পিআইসি কমিটির কাছ থেকে কখনও উৎকোচ আদায় করা হয়না। উৎকোচ আদায়ের ব্যপারে আমার কার্যালয়সহ স্থানীয় কোনো অফিসে আমার নামে কোনো অভিযোগ নেই। রাজনগর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের হস্তক্ষেপে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে আমার অনিয়মের কোনো সুযোগ ছিলো না।
প্রতিবেদনে রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের যে বক্তব্য সংযুক্ত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রকাশিত প্রতিবেদনে উনার যে বক্তব্য প্রকাশিত হয় তা উনার দেওয়া বক্তব্য না, ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তিনি লিখিত ভাবে জানান "জনাব মোঃ সুমন আহমদ, অফিস সহকারী, পিআইও অফিস, রাজনগর অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে আমার বা আমার ইউনিয়নের সদস্য, মহিলা সদস্য বা কোন পিআইসি সভাপতির কোন অভিযোগ নাই এবং টিআর কাবিখা বিল নিতেও তাকে কোন টাকা দিতে হয় না। রাজনগর উপজেলায় উনি সুনামের সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন, কে বা কারা সম্মানহানির জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ পত্রে আমার বক্তব্য তুলে ধরছে, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এক ধরনের কুচক্রী মহল সমাজে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পিআইও অফিসের অফিস সহকারীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। অফিস সহাকরী সুমন আহমেদসহ পিআইও অফিসের অন্য কারো বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কোন খারাপ সম্পর্ক না থাকলেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে অফিসের সাথে আমার সম্পর্ক অবনতির করার পায়তারা করছে একটি মহল। এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি নির্ভূল তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিক ভাইদেরকে অনুরোধ করছি।"
সুমন আহমদ, অফিস সহকারী, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, জুড়ী ও রাজনগর ( অতিঃ)।
(প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি)